Thursday, January 3, 2019

আমীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তার পর্যালোচনা



দাওয়াতে তাবলীগ

“দাওয়াতে তাবলীগ” একটা মেহনত,একটা আন্দোলন,একটা প্রতিষ্ঠান,যা উলামায়ে দেওবন্দের ফসল।এই দাওয়াতের দেখভালের দায়িত্বও উলামাদের।মওলানা সা সাল্লামাহু বর্তমান এই মহান কাজের জিম্মাদার ,তিনি একজন ব্যক্তি তার কিছু কথা, কিছু পদক্ষেপ নিয়ে সম্প্রতি পুরা প্রতিষ্ঠানের উপর আপত্তি তোলা হচ্ছে তিনি যখন বড় খেদমতে নিয়োজিত তার ছোটখাট ভুলগুলিকে চশমেপুশি (মার্সি) করা উচিত যাতে করে এই কাজের বিরোধীরা বিরোধীতার সুযোগ না পায়। এটাও খেয়াল রাখতে হবে, ব্যক্তিকে রক্ষা করতে গিয়ে  উম্মাহর দ্বীনি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল না হয়কতইনা ভালো হতো যদি মওলানা সা সাল্লামাহুর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলি নিজামুদ্দিনের ভিতরে বসে সংশোধন করা যেত।অনেকেই মনে করছে, বর্তমান হযরত উলামায়ে কেরাম ব্যক্তি সা সাহেবের উপর উন্থাপিত আপত্তি নিরসনের যে পদ্ধতি গ্রহন করেছে তাতে পুরা প্রতিষ্ঠান দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাচ্ছে,মুসলীম উম্মা ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছে।মুসলীম উম্মাকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাদ সাহেবের উচিত তার উস্তাদতুল্য উলামায়ে কেরাম তার যে কথাগুলি আপত্তিকর মনে করছেন তাবলীগে দ্বীনের সার্থে নির্দিধায় আজীবনের জন্যে তা বলা বন্ধ করা।উলামায়েকেরামদের মধ্যে যারা সাদ সাহেবের কিছু কিছু কথার অভিযোগ করছেন তাদেরও উচিত দ্বীনের বৃহৎস্বার্থে মুসলীম উম্মার এত্তেহাদ বজায় রাখার জন্যে নমনীয় মনোভাব পোষন করা।প্রথমে জানতে চেষ্টাকরা অভিযোগকৃত কথা গুলি তিনি বলেছেন কিনা ?অনেকেই মনে করেন বাংলাদেশের কোথাও তিনি এই কথাগুলি বলেননি,তাই বাংলাদেশে কথাগুলিকে পুজি করে দ্বীনের ক্ষতি করা যুক্তিসঙ্গত মনে হচ্ছেনা।আর অভিযোগকৃত কথা গুলি তিনি নিজের পক্ষ থেকে বলেছেন না পুর্বতর্তীদের বলা কথা গুলি নকল করেছেন? কোরআন–হাদিসের আলোকে বলেছেন না নিজের মত মতো বলেছেন ? আসুন আমরা অভিযোগ গুলি পর্যালোচনা করিযদি তিনি পুর্বশুরীদের বলা কথাগুলি নকল করে থাকেন,কোরআন-হাদিসের আলোকে বলে থাকেন,তার বিরোধীতাকরে নিজের দ্বীন-ঈমান ও মুসলীম উম্মার ক্ষতি না করি
মওলানা সাদ সাহেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার উত্তর
()সাদ সাহেবের কথা-“ভোট দিতে গেলে যদি আঙ্গুলে এমন কালি লাগায়,যার ফলে ওজু-গোসল না হয় ভোট না দেয়াই উচিতঅভিযোগ-“খুব সম্ভব মওঃসাদ কৌশলে মুসলমানদের ভোট থেকে বিরত রেখে ইসলামের দুষমনদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেঅভিযোগ খন্ডন-“খুব সম্ভববলে বিশ্ববরেন্য একজন আলেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা মোটেও ঠিক হয়নি।আগে জানুন কোন প্রেক্ষিতে তিনি এই কথা বলেছেন। মওলানা সাদ সাহেবের এই কথা শতভাগ সঠিক প্রমান ভিত্তিক যুক্তি নির্ভর বিজ্ঞ ফোকাহায়েকেরাম একথার উপর একমত ,যে কালি হাতে আবরন সৃষ্টিকরে তা হাতে লাগালে ওজু গোসল হবেনা দলের জিম্মাদার হিসাবে অধিনস্তদের এব্যপারে হুশিয়ার করা তার দায়িত্ব।
وَلَوْ لَزِقَ بِأَصْلِ ظُفْرِهِ طِينٌ يَابِسٌ وَنَحْوُهُ أَوْ بَقِيَ قَدْرُ رَأْسِ الْإِبْرَةِ مِنْ مَوْضِعِ الْغَسْلِ لَمْ يَجُزْ-فتح القدير البحر الرائق
ভোটদিয়ে যে গনতন্ত্রে অংশ গ্রহন করতে যাচ্ছেন সে গনতন্ত্রের মুলভিত্তি হলোজনগন ক্ষমতার উৎসযা পবিত্র কোরআনের সুরা আল ইমরানের ২৬ নং আয়াতের পরিপন্থি
قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَن تَشَاءُ وَتَنزِعُ الْمُلْكَ مِمَّن تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَن تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ﴿آل‌عمران: ٢٦﴾
এই গনতন্ত্রে অংশ গ্রহন করতে শতবার চিন্তা করতে হবে।আর তাছাড়া ভোট হলো সাক্ষ্যদেয়া সম্প্রতি যাদেরকে ভোট দেয়া হচ্ছে তারা প্রায় সকলেই কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিতে পদের অনুপোযুক্ত,ফলে ভোটদাতা মিথ্যা সাক্ষ্য দিচ্ছে বলে বিবেচিত হবে।আর মিথ্যা সাক্ষ্য শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম তা মুসলমানদের অজানা থাকার কথা নয়।
গনতন্ত্র হলো অধিকাংশের অনুসরন ,পবিত্র কোরআনে অধিকাংশের অনুসরনকে গোমরাহী বলেছে-
وَإِن تُطِعْ أَكْثَرَ مَن فِي الْأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ ﴿الأنعام: ١١٦﴾
 ()সাদ সাহেবের কথা-সাদ সাহেব তার বয়ানে অনেক সময় এমন বলে থাকেন-“এই আয়াতের তাফসিরে মুফাস্সির গন এমন বলেছেন, উলামা হযরত এমন বলেছেন,আমি এমন বলি,এটাই সঠিকঅভিযোগ- কোরআন তাফসীরের ক্ষেত্রেআমি এমন বলি,এটাই সঠিকবলা তাফসির বিররায়(التفسير بالرائ)যা হারামঅভিযোগ খন্ডন-“ না এটা তাফসির বিররায় নয়,যা সর্বসম্মতিক্রমে হারামতাফসির বিররায় নিন্দনীয়,আর সাদ সাহেব যা বলে থাকেন ওটা নন্দনীয় হা এরুপ বলা তখন নিন্দনীয় হবে যখন কথাগুলি সলফের আকিদা মসলকের পরিপন্থি বেশাহ ওলী উল্লাহ রঃ তার জগৎবিখ্যাত্য উসুলে তাফসীরের কিতাব ফাওজুল কাবীরে বলেছেন,যে তাফসীর ইজমা অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমানীত কোন মাসালাকে পরিবর্তন করে কিংবা সলফগন যে আকিদার উপর ঐক্যবদ্ধ সে আকিদাকে পাল্টিয়ে দেয় তা তাফসীর বিররায়।সাদ সাহেবের কথা না আকিদার পরিপন্থি না মসলকের খেলাপ বরং বলাযেতে পারে সাদ সাহেবের তাফসীরতাফসীর বিল কারায়েনশাহ ওলী উল্লাহ রঃ এর মতেতাফসীর বিল কারায়েন শরীআতে গ্রহনযোগ্য (আল ফাওজুল কাবীর ১৪ পৃষ্টা)তাফসীর করার রীতি ও নীতি হলো ,প্রথমে বিভিন্ন তাফসীর কারকদের মত উল্যেখ করা পরে নিজেরমত অথবা নিজের নিকট পছন্দনীয় মত উল্যেখ করে বলা আমার মত এটা ,আমার নিকট গ্রহনযোগ্য মত এটা ,এটাই সঠিক অতএব মুহতারাম মওলানা সাদ যা বলেছেন ওটাই তাফসীরের রীতি ওটাই তাফসীরের নীতি।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া শরহে মোকাদ্দমাতুতাফসীরগ্রম্থে লিখেছেন-তাফসীর তিন প্রকার()যে তাফসীর মূর্খতার উপর ভিত্তিকরে করা হয় ,এটা তাফসির বিররায়(التفسير بالرائ) যা নিন্দনীয়() যে তাফসীর খাহেশাত প্রবৃত্তির উপর ভিত্তিকরে করা হয় এটাও তাফসির বিররায়(التفسير بالرائ) যা নিন্দনীয়() যে তাফসীর ইজতেহাদের উপর ভিত্তিকরে করা হয় এটা তাফসির বিররায়(التفسير بالرائ) নয় (/১২৮)
()সাদ সাহেবের কথা-ক্যামেরা ওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম, এই জাতীয় মোবাইল পকেটে থাকলে নামায হবে নাযারা এই জাতীয় মোবাইল রাখা জায়েয বলে ওরা উলামায়ে সু,ওরা গাধা্ এই জাতীয় মোবাইলে কোরআন শোনা আর প্রশাবের পাত্রে দুধ রাখা একই কথাঅভিযোগ- “সাদ সাহেবের এই কথা বলা (ক্যামেরা ওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম, এই জাতীয় মোবাইল পকেটে থাকলে নামায হবে নাযারা এই জাতীয় মোবাইল রাখা জায়েয বলে ওরা উলামায়ে সু,ওরা গাধা্ এই জাতীয় মোবাইলে কোরআন শোনা আর প্রশাবের পাত্রে দুধ রাখা একই কথা”) মোটেও ঠিক হয়নিঅভিযোগ খন্ডন-মওলানা সাদ সাহেব এই কথা না বললেই ভালো করতেনমনে রাখতে হবে মওলানা সাদ সাহেব তার এই কথা থেকে রুজু করেছেনএকথাও মনে রাখতে হবে এটা সাদ সাহেবের একক মত নয় উলামায়ে দেওবন্দের প্রথম সারির অনেক মহামনিষীর অভিমত ক্যামেরা ওয়ালা মোবাইল রাখা সম্পর্কে এরকমইহাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী,ভারত উপমহাদেশের মুফতিয়ে আজম মুফতি কেফায়েতুল্লাহর ফতোয়া, ইসলামী রিসার্চসেন্টার বসুন্ধারার ফতোয়া সহ অনেক ফতোয়ায় ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল টি,ভিকে এক বলা হয়েছেযে বা যারা হারামকে হালাল বলে,মোবাইল বা টিভিতে মূভি দেখা বৈধ মনে করে, ছবি তোলা বা ভিডিও করাকে গুনাহ মনে করে না, ইছালে সওয়াবের নিয়তে কোরআন পড়ে টাকা উপার্জন করে বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম তাদেরকে উলামায়ে সু বলেছেন।দেখুন-ইমাম গাজালী রচিত এহইয়ায়ে উলুমুদ্দিন।
মওলানা আশরাফ আলী থানুবী ইমদাদুল ফতোয়ায় লিখেছেন- বিনোদনের যন্ত্রে কোরআন শরীফ ঢুকানো এবং তার থেকে শোনা না যায়েজ(/২৪৫)
মুফতিয়ে আজম মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কেফায়েতুল মুফতি কিতাবে লিখেছেন-গ্রামোফোনে কোরআনশরীফের আয়াত সুরা সমুহ প্রবেশ করানো না যায়েজএতে পবিত্র কিতাবের অপমান হয়--- (/১১৮)
আপকে মাছায়েল আওর উনকা হল কিতাবে লিখেছেন-টি,ভি এবং টি,ভির যুররিয়াত ক্যামেরা মোবাইল ইত্যাদিকে মতলকান হারাম মনে করি ( /২৪৮)
ইসলামী রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা ঢাকা থেকে প্রকাশিত আটজন মুফতির সাক্ষরিত ফতোয়ায় বলা হয়েছে-“বলতেগেলে এধরনের সেট পকেট টেলিভিশনের চেয়ে কোন অংশে কম নয়,বরং অনেক ক্ষেত্রে তা টি,ভির খারাবিকেও ছাড়িয়ে গেছে---তাই এর ব্যবহার ব্যপকভাবে যায়েজ হবেনা
যেহেতু মাসালাটি বিতর্কিত তাই মওলানা সা সাহেবের জন্যে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিলোতবে আশার কথা হলো সা সাল্লামাহু কথা থেকে রুজু করেছেন,ফলে আর আপত্তি থাকেনা
() সা‘দ সাহেবের কথা- কোরআন শিখিয়ে বেতন গ্রহন বেশ্যার উপার্জনের চেয়েও খারাপযে ইমাম শিক্ষক বেতন গ্রহন করে বেশ্যা তার আগে জান্নাতে যাবেঅভিযোগ- “সাদ সাহেবের এই কথা ফোকাহায়ে মোতাখখেরিনের এজমার খেলাপঅভিযোগ খন্ডন-মওলানা সাদ সাহেব এই কথা একা বলেন নাইখতিবে বাগদাদী,জালাল উদ্দিন সুয়ুতী,আলী আল মোত্তাকি,হযরতজী ইউসুফ কান্দলভী সহ অনেকেই কোরআন শিখায়ে বেতন গ্রহনকে বেশ্যার উপার্জনের সাথে তুলনা করেছেন,এবং প্রমান হিসাবে একটা হাদিসও উল্লেখ করেছেন-
عن مجاهد قال قال عمر بن الخطاب : يا أهل العلم والقرآن لا تأخذوا للعلم والقرآن ثمنا فتسبقكم الزناة إلى الجنة (الخطيب فى الجامع -كنز العمال-جامع الاحاديث للسؤطى)
ওমর ইবনে খত্তাব রাঃ বলেছেনহে আহলে ইলম, আহলে কোরআন তোমরা ইলম কোরআনের বিনিময় (টাকা পয়সা) গ্রহন করিও না ,যদি কর তবে বেশ্যারা তোমাদের আগে জান্নাতে যাবে ”(আল জামে,কান্জুল উম্মাল)
যেহেতু পরবর্তী ফোকাহাগন কোরআন শিখিয়ে বেতন গ্রহন বৈধ বলেছেন, তাই সাদ সাহেব এই মন্তব্য না করলেই পারতেনযদি একথা বলার দ্বারা দোষী হন তবে তিনি একা হবেন কেন ,একথাত হযরতজী ইউসুফ কান্দলভী তার কিতাব হায়াতুসসাহাবায় লিখেছেন, খতিবে বাগদাদী ,আল্লামা সুয়ুতী,আলী আল মোত্তাকি নিজ নিজ কিতাবে লিখেছেন, এরাও দোষী হবেন।
আমাদের জানামতে আম কোন মজলিসে তিনি এ কথা বলেননি,খাস কোন মজলিসে বলে থাকতে পারেন ,সেখানেও না বলা উচিত ছিলো ,তবে বলে অতবড় অপরাধ করেননি এখন যতবড় পাপী মনে করা হচ্ছে।আমাদের দেশে দ্বীনি মাদ্রাসাগুলিতে অর্থ সংগ্রহের জন্যে চাদা আদায়ের লক্ষে যে সকল পদ্দতি গ্রহন করা হচ্ছে ,মওঃ আশরাফ আলী থানভী, মুফতি ফয়জুল্লাহ রঃ এর মতে তার প্রায় সবই হারাম।যারা সা‘দ সাহেবর কথায় আপত্তি করছেন ,তারা দয়া করে মওঃ আশরাফ আলী থানভী, মুফতি ফয়জুল্লাহ রঃ এর লেখা পড়ে দেখুন।  
()সাদ সাহেবের কথা- হযরত মুছা আঃ দাওয়াত ছেড়ে দিয়ে তাড়াহুড়া করে কিতাব আনতে যাওয়ায় লাখ ,৮৮ হাজার লোক মুরতাদ হয়ে গেছেঅভিযোগ- সা সাহেব এখানে নবী মুছা আঃ এর উপর আপত্তি করেছেন, নবীদের শানে এরুপ আকিদা রাখা বেয়াদবী, ইসমতে আম্বিয়ার খেলাফপ্রকারান্তরে তিনি আল্লাহ তায়ালার উপর আপত্তি করেছেন ,কারন মুছা আঃ কিতাব আনতে গেছেন মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশে তাহলে কি আল্লাহ তায়ালা অপেক্ষা সা সাহেবের জ্ঞান বেশী ,মুছা আঃ থেকে উম্মতের দরদ সা সাহেবের বেশী অভিযোগ খন্ডন-এখানে মওলানা সা সাল্লামাহু যা বলেছেন এটা তার নিজস্ব মত বা ইজতেহাদ নয়, বরং অনেক বিজ্ঞ তাফসীর কারকগন তাদের কিতাবে লিখেছেন,আল্লাহ তায়ালা মুছা আঃ কে একা যেতে বলেননি,কওমের সব কিংবা কিছু লোকদের সাথে নিয়ে যেতে বলেছিলেন, মুছা আঃ কাউকে না নিয়ে অনেকটা তাড়াহুড়া করে নিজে একাই গিয়েছিলেন তার তাড়াহুড়া করে একা যাওয়ার ফলে লাখ ,৮৮ হাজার লোক মুরতাদ হয়েগিয়ে ছিলো দেখুন আল্লামা ফখর উদ্দিন রাজির তাফসীরমাফাতিহুল গাইব” –
قوله : { وَمَا أَعْجَلَكَ عَن قَومِكَ ياموسى } دلالة على أنه تعالى أمره بحضور الميقات مع قوم مخصوصين ، واختلفوا في المراد بالقوم فقال بعضهم : هم النقباء السبعون الذين قد اختارهم الله تعالى ليخرجوا معه إلى الطور فتقدمهم موسى عليه السلام شوقاً إلى ربه . وقال آخرون : القوم جملة بني إسرائيل وهم الذين خلفهم موسى مع هارون وأمره أن يقيم فيهم خليفة له إلى أن يرجع هو مع السبعين فقال : { هُمْ أُوْلاءِ على أَثَرِى } يعني بالقرب مني ينتظرونني ،
المراد بالقوم ههنا هم الذين خلفهم مع هارون عليه السلام على ساحل البحر وكانوا ستمائة ألف افتتنوا بالعجل غير أثني عشر ألفاً .
আল্লামা ইবনে আশুর এর তাফসীরতাহরীর তানবীর”-
وقوله هنا ) هُمْ أُوْلاءِ عَلى أَثَرِي ( يدل على أنّهم كانوا سائرين خلفه وأنه سبقهم إلى المناجاة واعتذر عن تعجّله بأنه عجّل إلى استجابة أمر الله مبالغة في إرضائه ، فقوله تعالى : ( فَإنَّا قَدْ فَتَنَّا قَوْمَكَ مِن بَعْدِكَ ( فيه ضرب من المَلام على التعجل بأنّه تسبب عليه حدوث فتنة في قومه ليعلمه أن لا يتجاوز ما وُقت له ولو كان لرغبة في ازدياد ----
,আল্লামা শামসুদ্দিন শারবীনী,শাফেঈ এর তাফসীরসিরাজুল মুনীর”-
{قال} تعالى : {فإنا} أي : تسبب عن عجلتك عنهم أنا {قد فتنا} أي : ابتلينا {قومك من بعدك} أي : بعد فراقك لهم بعبادة العجل ، وهم الذين خلفهم مع هارون ، وكانوا ستمائة ألف ، وما نجا من عبادة العجل منهم إلا اثنا عشر ألفاً {وأضلهم السامري} باتخاذ العجل والدعاء إلى عبادته ، فأطاعه بعضهم ، وامتنع بعضهم
একই তাফসীর করেছেন আল্লামা আলুসী তাফসীরেরুহুল মাআনীতে,আল্লামা সানা উল্লাহ পানিপথি তাফসীরেমাযহারীতে ,এবং আরও অনেকে
তাফসীরে তাবারী রাজীতে বলা হয়েছে মুছা আঃ কে একা নয় বরং কওম সহ যেতে বলা হয়েছিলো, তিনি তাড়াহুড়া করে কওমকে পিছনে ফেলে চলে গিয়ে ছিলেন যার ফলে যা হবার তা হয়েছে অর্থাৎ ছয় লক্ষ উম্মতের মধ্যে মাত্র বার হাজার হেদায়েতের উপর ছিলো বাকী লক্ষ ৮৮ হাজার মুরতাদ হয়ে গেছেসা‘দ সাল্লামাহুত এখানে নিজে থেকে কিছুই বলেননি, নির্ভরযোগ্য তাফসীরে যা আছে বর্ননা করে লোকরেকে দাওয়াতের কাজে অংশ গ্রহন করতে উৎসাহীত করেছেন, এখানে নবী মুছা আঃ এর উপর আপত্তি খুজতে নাযাওয়াই উচিত।
প্রশিদ্ধ আলেমেদ্বীন হযরত মওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক সাহেব (আল্লাহ তার নেক হায়াত বৃদ্ধি করুন), তার লেখা সাআদ সাহেবের আসল রুপ বইএ সা সাহেবের বিরুদ্ধে অনেকগুলি অভিযোগ করেছেন ,এখানে আমি টি অভিযোগ খন্ডন করার চেষ্টাকরলাম আগামীতে সময় সুযোগ হলে মুসলীম উম্মার উপকার মনে করলে আরও কিছু লেখব ইনশাল্লাহ আমার ইচ্ছা উম্মতের ফাটল বন্ধ করার চেষ্টামাত্র , হযরাত উলামায়েকেরামদের সন্মান নষ্ট করা নয়


মুফতি আব্দুল্লাহ খান ফয়েজী
সহঃ অধ্যাপক সানন্দবাড়ী ইঃ সিনিয়র মাদ্রাসা
০১৭২৫১৮৩২৪৫

No comments:

Post a Comment

প্রচলিত মুনাজাত ও তার হুকুম

ভারত উপমহাদেশে বিভিন্ন মসজিদে বেশ কিছুদিন থেকে ফরজ সালাতের পর সম্মিলিত মুনাজাত চালু হয়ে আসছে । ফরজ সালাতের সালাম ফিরানো...